যুক্তরাজ্যে কমনওয়েলথ বৃত্তি

২০১০ সালে যুক্তরাজ্যে কমনওয়েলথ বৃত্তির অধীনে পড়তে আগ্রহী বাংলাদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। বৃত্তির ধরন: (ক) এক বছরের মাস্টার্স অথবা সমমানের কোর্স; (খ) মেডিসিন অথবা ডেন্টিস্ট্রিতে ছয় মাসের ক্লিনিক্যাল ট্রেনিং; (গ) তিন বছরের ডক্টরাল ডিগ্রি; (ঘ) এক বছরের গবেষণা বৃত্তি স্পি্লট-সাইট ভিত্তিতে; বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি রেজিস্টার্ড হিসেবে।
যেকোনো বিষয়ের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে তা দেশের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেবে, এমন বিষয় হতে হবে। পড়াশোনার বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে প্রার্থী তঁার ব্যাপক বিষয় উলে্লখ করবেন, যে বিষয়ে প্রার্থী তঁার প্রথম ডিগ্রিটি অর্জন করেছেন। সম্মান পর্যায়ে একটি প্রথম শ্রেণীর ডিগ্রি জিপিএ ৪-এর মধ্যে ৩, অথবা ৫-এর মধ্যে ৪ থাকতে হবে। অথবা পোস্ট গর্্যাজুয়েট পর্যায়ের একটি প্রথম শ্রেণীর ডিগ্রি জিপিএ ৪-এর মধ্যে ৩ অথবা ৫-এর মধ্যে ৪ থাকতে হবে। আর একজন প্রার্থী যেকোনো একটি বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনপত্রের ধরন: আবেদনপত্রের শুরুতে বৃত্তির নাম কমনওয়েলথ বৃত্তি যুক্তরাজ্য ২০১০ লিখতে হবে। এরপর আপনি কোন বিষয়ে পড়তে চান, তা উলে্লখ করতে হবে। এখানে প্রার্থী যে বিষয়ে তঁার প্রথম ডিগ্রি অর্জন করেছেন, সে বিষয়ের নাম উলে্লখ করবেন। এরপর প্রার্থীর নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, বর্তমান ঠিকানা, সঙ্গে টেলিফোন নম্বর এবং ই-মেইল ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা, জন্মতারিখ আর চাররিরত প্রার্থীর ক্ষেত্রে প্রার্থী তঁার বর্তমান পদবি, যোগদানের তারিখ, প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা দিতে হবে। প্রার্থীকে অবশ্যই যথাযথ কতর্ৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আর প্রার্থী যদি কোনো বৃত্তির জন্য প্রাথমিকভাবে বা চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়ে থাকেন, তবে তা উলে্লখ করবেন। এরপর প্রার্থী তঁার এসএসসি, এইচএসসি, ব্যাচেলর সম্মান কোর্সের সময় উলে্লখপূর্বক এবং মাস্টার্স বা সমমানের কোর্সগুলোসহ অন্যান্য কোর্স যদি করে থাকেন, তবে সেগুলোর শাখা অথবা বিষয়, পাসের সেশন, ডিভিশন অথবা সিজিপিএ, পরীক্ষার মোট নম্বর অথবা সিজিপিএ, অর্জিত মোট নম্বর অথবা সিজিপিএ এবং এর শতকরা হার উলে্লখ করবেন। আর যদি প্রার্থী টোফেল, জিআরই, আইইএলটিএস, জিম্যাট ইত্যাদি কোর্সে পরীক্ষা দিয়ে থাকেন এবং যদি সে ফলাফলের মেয়াদ থেকে থাকে, তবে তা উলে্লখ করবেন আর প্রার্থীর যদি কোনো প্রবন্ধ প্রতিষ্ঠিত কোনো সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়ে থাকে, তবে সে প্রবন্ধের নাম ও বিষয়, সাময়িকীর বিবরণ যেমন জাতীয় বা আন্তর্জাতিক, প্রকাশনার স্থান, প্রবন্ধের শব্দসংখ্যা আর এই প্রবন্ধের বিপরীতে যদি কোনো ডিগ্রি বা ডিপে্লামা অথবা সনদ পেয়ে থাকেন, তবে তাও উলে্লখ করতে হবে। আবেদনের সবশেষে প্রার্থী তারিখসহ স্বাক্ষর করবেন। এই ধঁাচে প্রার্থী আবেদনপত্র ইংরেজিতে টাইপ করবেন। তবে আবেদনের সঙ্গে প্রকাশনার বর্ণনা হিসেবে বাড়তি কাগজ জুড়ে দিতে পারেন। মেডিসিন ও ডেন্টিস্ট্রির প্রার্থীরা আবেদনপত্রে তঁাদের এমবিবিএস বা বিডিএসের প্রত্যেক পার্টের পাসের সাল, অর্জিত নম্বর, মোট নম্বর এবং গড় নম্বর উলে্লখ করে দেবেন। অসম্পূর্ণ আবেদন সরাসরি বাতিল বলে গণ্য হবে। নির্দষ্টি সময়ের মধ্যে স্বল্প প্রার্থীকে মেৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে একটি সম্পূর্ণ আবেদনপত্র Èসচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, বাংলাদেশ, আগারগঁাও, ঢাকা-১২০৭' ঠিকানায় পঁেৌছাতে হবে। খামের ওপর বৃত্তির নাম এবং বৃত্তির ধরন উলে্লখ করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে সব সনদপত্র, নম্বরপত্র এবং টোফেল, আইইএলটিএস, জিআরই, জিম্যাট ইত্যাদি পরীক্ষার নম্বরপত্র যদি থাকে এবং সম্প্রতি তোলা এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি জমা দিতে হবে। আর নিজ ঠিকানাসংবলিত একটি ফিরতি খাম (৯.৫র্ র্ X ৪.৫র্ র্), সঙ্গে পঁাচ টাকার ডাক টিকিট সংযুক্ত করে আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

No comments:

Post a Comment